সাম্প্রতিক অবস্থা
বাংলাদেশে সরকারি চাকরির কোটা পদ্ধতির বিরুদ্ধে চলমান ছাত্র আন্দোলন গুরুতর সহিংসতায় রূপ নিয়েছে। এই আন্দোলনটি শুরু হয়েছিল ১ জুলাই, ২০২৪ তারিখে, এবং এ পর্যন্ত ২০৬ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। সরকার দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কারফিউ জারি করেছে এবং ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দিয়েছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত বলপ্রয়োগের নিন্দা জানিয়েছে এবং পরিস্থিতি শান্ত করার আহ্বান জানিয়েছে।
নুরুল হক নুরের অবস্থা
ডাকসুর সাবেক সহ-সভাপতি নুরুল হক নুরকে আন্দোলনের সময় গুম করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো নুরের অবস্থান সম্পর্কে সরকারকে তদন্ত করার আহ্বান জানিয়েছে।
গ্রেপ্তার ও মামলার পরিস্থিতি
সরকারি চাকরির কোটা পদ্ধতির বিরুদ্ধে চলমান ছাত্র আন্দোলনের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে কয়েক হাজার মানুষকে আসামি করা হয়েছে। এই মামলায় বিএনপি-জামায়াতের শীর্ষ ২০ নেতাসহ এখন পর্যন্ত এক হাজার ৭৫৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির বিভিন্ন থানা ও বিভাগ। গ্রেপ্তারদের মধ্যে বেশিরভাগই জামায়াত-বিএনপির নেতাকর্মী।
গত ২৪ ঘণ্টায় শুধুমাত্র ঢাকায় ৬০১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যা পরিস্থিতির তীব্রতাকে নির্দেশ করে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আন্দোলন নিয়ন্ত্রণে কঠোর অবস্থান নিয়েছে এবং বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন এই ধরনের গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়েছে।
আন্দোলনের প্রতিক্রিয়া
বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত বলপ্রয়োগের নিন্দা জানিয়েছে এবং পরিস্থিতি শান্ত করতে আহ্বান জানিয়েছে। এমনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ বিভিন্ন সংগঠন সরকারকে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ বন্ধ করতে এবং তাদের মানবাধিকার রক্ষার আহ্বান জানিয়েছে।
আমার কথা
বাংলাদেশে চলমান ছাত্র আন্দোলন একটি গুরুতর মানবাধিকার সংকটের মুখোমুখি হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরো সংযত ও মানবাধিকারসম্মত আচরণ করতে হবে।